মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার এক
পূর্ব মেদিনীপুর,গণধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা
এগরা- বেআইনি মদের দোকানের কারনে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েই চলছিল। সেই মদ্যপদের বিরুদ্ধে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। এগরা শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে মহিলাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন মহিলারা। ঘটনায় এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও অধরা আরো দুই ব্যক্তি।
এগরা শহর ও থানা থেকে চার কিলোমিটার দূরে জনবহুল ছত্রি বাসস্ট্যান্ড। এগরা পানিপারুল ব্যস্ততম রাজ্য সড়কের উপর এই বাসস্ট্যান্ডে এলাকার বাসিন্দা মুক ও বধির এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘুরে বেড়াতেন। রাতে দোকানের সামনে কিংবা বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে পড়তেন। ছত্রি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকমাস ধরে একাধিক বেআইনি মদের দোকান গজিয়ে উঠেছে বলে দাবী। মদের ঠেকে সন্ধ্যা নামলেই একটা শ্রেণীর মানুষেরা ভিড় জমায়। মদ্যপদের দৌরাত্মে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ দিনেই বেড়েই চলছিল। একাধিক বার পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। গত শনিবার গভীর রাতে বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানে বসেছিল মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় তিন যুবক ওই মহিলাকে চ্যাংদোলা করে দোকানের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে দাবী। অসুস্থ অবস্থায় ওই মহিলাকে রবিবার সকালে পরিবারের লোকেরা বাজারের লোকজন মারফত খবর পেয়ে উদ্ধার করে। এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই মহিলা সুস্থ রয়েছে বলে দাবী। ঘটনায় ২২ জানুয়ারি সোমবার এগরা থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে। মুল অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ মাইতিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যদিও ঘটনায় বাকি দুই অভিযুক্ত এখনো অধরা রয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও এলাকায় মদের দোকান বন্ধের দাবিতে নাগরিক মঞ্চ তৈরী করে আন্দোলনে নেমেছে এলাকায় মানুষ। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ নাগরিক মঞ্চ। যদিও পুলিশের দাবী দ্রুত বাকি অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে ও বেআইনি কারবারিবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে নেওয়া হবে।
কমিটির সহ সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ গুচ্চাইত বলেন ' পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা অধরা রয়েছে। অবিলম্বে সকলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এলাকায় মদের দোকান বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসন নিজেদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে'।
এগরা থানার পুলিশ বলেন 'ঘটনায় এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে'।
Comments
Post a Comment