আহতকে তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে রাস্তায় প্রাথমিক চিকিৎসা করায় চিকিৎসকে হেনস্থা। অভিযোগ অস্বীকার পুলিশের।


এগরা- সরকারি হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন এক চিকিৎসক। পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত যুবককে দেখে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে না পাঠিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় হয়রানির অভিযোগ উঠলো। পুলিশের চোখরাঙানি ও আহত যুবকের সঙ্গে টোটোতে চিকিৎসককে নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠলো।পুলিশি হেনস্থার ঘটনায় সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছে ওই চিকিৎসক। পুলিশের টোটো দেওয়া সত্বেও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিলেন। পরিচয় না দিয়ে রাস্তার পাশে রোগীর চিকিৎসা করায় উভয়েই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন পাল্টা দাবী পুলিশের।

হাওড়ার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক বাবলু সর্দার দীঘা স্টেড জেনারেল হাসপাতালে অ্যানাস্থেটিক বিভাগের চিকিৎসক। সোমবার হাওড়া থেকে নিজের গাড়িতে এগরা রামনগর রাজ্য সড়ক ধরে দীঘা হাসপাতালে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর আড়াইটার নাগাদ চোরপালি হাইস্কুলের অদূরে স্পিড ব্রেকারের কাছে হঠাৎ এক যুবক বাইক নিয়ে রাজ্য সড়কে উঠে পড়ে। রাজ্য সড়কে দ্রুত গতির গাড়িতে বাইকের ধাক্কা লেগে ওই যুবক বাইক থেকে ছিটকে পড়ে। চোখের সামনে গাড়ি দুর্ঘটনায় বছর তিরিশের আহত যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন চিকিৎসক বাবলু সর্দার। মিনিট পনেরো আহত যুবক সংজ্ঞাহীন অবস্থায় থাকার পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে জ্ঞান ফিরে। দুর্ঘটনা স্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে নেগুয়াতে রয়েছে এগরা থানার পুলিশ ফাঁড়ি। মিনিট পনেরো পরে ফাঁড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ টোটো নিয়ে আহত যুবককে নিয়ে স্থানীয় গঙ্গাধরবাড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগী হয়। অভিযোগ আহত যুবককে সেই মুহূর্তে টোটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেন ওই চিকিৎসক। পুলিশকে নিজের পরিচয় না দিয়ে রাস্তায় আহত যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসা করায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় বলে দাবী। যুবকের বিপদ কিছু ঘটলে তার দায়ভার ওই চিকিৎসকে নিতে হবে বলে পুলিশ হুশিয়ারি  দেয়। একটা সময় চিকিৎসক নিজের পরিচয় দিলেও তখনো রেয়াত করেনি পুলিশ কর্মীরা। যুবকের সঙ্গে টোটোয় বসে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেতে ওই চিকিৎসককে বাধ্য করা হয়। এদিকে সময়মতো দীঘা স্টেট জেনারেলের হাসপাতালে না পৌছানোয় রোগীর অপারেশনে বিলম্বিত হয়। অপারেশন সময়ে না হওয়ায়  হাসপাতালের সুপার ওই চিকিত্সককে ফোন করলে গোটা ঘটনা তিনি সুপারকে জানান। পরবর্তীতে রামচন্দ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে মিনিট কুড়ি থেকে ফের টোটোয় করে চোরপালিয় গাড়ির কাছে আসেন। সেখান থেকে দীঘা হাসপাতালে কর্মস্থলের  উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই ঘটনায় নেগুয় ফাঁড়ির পুলিশের হয়রানির বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন চিকিৎসক বাবলু সর্দার। চিকিৎসকে বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও নিজের পরিচয় গোপন রেখে টোটো নিয়ে যাওয়া সত্বেও আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া। পরিবর্তে  রাস্তায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আহত যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসা করা অভিযোগ তুলেছে পুলিশ

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।