পটাশপুরে সদ্যজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করলো পুলিশ।
পঞ্চমবারে ও শিশুকন্যা হওয়ায় জন্মের চারদিনের মাথায় এক নিঃসন্তান দম্পতিকে নিজেদের শিশু দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সদ্যজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ। শিশুকন্যার খাবার ও ওষুধপত্র সহ লালন পালনের খরচের দায়িত্ব নিলেন প্রশাসন।
পটাশপুরের দক্ষিন ইটাবেড়িয়া গ্রামের খোকন ও কল্পনা মাইতির দম্পতির চার মেয়ে রয়েছে। ছেলে সন্তানের আশায় পঞ্চমবারের জন্য গর্ভবতী হয় কল্পনা। গত ২ ফেব্রুয়ারি এগরা মহকুমা হাসপাতালে পঞ্চম কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সেই শিশুকন্যাকে এগরার মোটাঘাটের নিঃসন্তান পাত্র দম্পতি গৌতম ও শকুন্তলা দম্পতিকে তাদের সদ্যজাত শিশুকন্যাকে তুলে দেয়। যদিও গ্রামবাসীদের দাবী সদ্যজাত শিশুকন্যাকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন মাইতি দম্পতি। বেআইনিভাবে শিশুকন্যাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় খরব প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ও পটাশপুর থানার পুলিশ। বুধবার রাতে পটাশপুর থানার পুলিশ এগরার মোটাঘাট গ্রাম থেকে সদ্যজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে। শিশুকন্যা সহ বেআইনিভাবে দত্তক নেওয়া পাত্র দম্পতিকে পটাশপুর থানায় নিয়ে আশা হয়। রাতে পুলিশ উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যাকে নিয়ে দক্ষিণ ইটাবেড়িয়া গ্রামের তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। সদ্যজাত নিজের শিশুকন্যাকে ফিরে পেয়ে খুশিতে কল্পনা। বৃহস্পতিবার পটাশপুর-২ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা বাড়িতে গিয়ে মায়ের হাতে শিশুর খাবার দুধ ও ওষুধ সহ অনান্য সামগ্রী তুলে দেন। শিশুটির লালান পালনে জন্য দায়িত্ব নেয় ব্লক প্রশাসন। ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হলে ব্লক প্রশাসন তাদের পাশে থানার আশ্বাস দেন। শিশুটি মায়ের কোলে ফিরে আশায় খুশি গ্রামবাসীরা।ভবিষ্যতে এভাবে কোন মায় তার কোলের শিশুকে অন্যকে না দিয়ে দেন সেই বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি ও সচেতনতা বাড়ানোর আবেদন করা হয়। প্রশাসনের তরফে শিশুকন্যাদের নিয়ে আগামীদিনে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রচার চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শিশুকন্যার মা বলেন ' মেয়েকে কোলে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে। অটনের সংসারে মেয়েকে মানুষ করতে প্রশাসন আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন'।
Comments
Post a Comment