বৌদিকে ধর্ষণে ফেরার অভিযুক্ত দেওরকে ছদ্মবেশে গিয়ে গ্রেফতার করলো পুলিশের

ভগবানপুর- বৌদিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দেওর তিনমাস ধরে ফেরার ছিল। অভিযুক্তের স্ত্রীর ফোনে আড়িপেতে যুবকের আগাম গতিবিধি সম্পর্কে আন্দজ করে পুলিশ। সেই মতো যাত্রীর বেশে পুলিশ অভিযুক্তের স্ত্রীর পিছু নিয়ে বাসে চেপে বসে। ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। 

 পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গত নভেম্বর মাসে এক গ্রামে জমি জায়গা নিয়ে এক ব্যক্তির দুই স্ত্রীর সংসারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সৎ মায়ের ছেলেরা বড়ো মায়ের দাদা ও বৌদির উপর একাধিক বার আক্রমন করেছিল। নভেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহ নাগাদ বড় মায়ের পক্ষের দাদা কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায়। বাড়িতে ছোট মেয়েকে নিয়ে একাই ছিলেন তার বৌদি। অভিযোগ বৌদি একা থাকার সুযোগে গত ১০ নভেম্বর বৌদিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে দেওয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দেওয়র সৎ মায়ের ছেলে। প্রাথমিক অবস্থায় ওই নির্যাতিতা মহিলা মানসম্মানের ভয়ে ঘটনার বিষয়টি চেপে রাখে। কানাঘুষো বিষয়টি জানাজানি হতে সামাজিক ও মানসিক চাপে পড়ে থানায় দেওয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে ওই মহিলা। ঘটনার পর থেকেই গত তিনমাস বাড়ি থেকে ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্ত। মাঝে মেদিনীপুরের এক ব্যক্তির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। পুলিশ সেই ঠিকানায় হানা দিলে সুযোগ বুঝেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরবর্তীতে যুবকের সন্ধানে তার পরিচিত ও পরিবারের ফোনে আড়ি পাতে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক ওড়িশা পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। স্ত্রীর ফোনে কথা বলে এই পরিকল্পনা সহ ওড়িশায়  পালিয়ে যাওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে এগরা শহরে দেখা করার কথা জানায়। পুলিশ তার স্ত্রীর ফোনে আড়ি পেতে যুবকের পরিকল্পনা ও গতিবিধি সম্পর্কে আগাম প্রস্তুতি নেয়। সেই মতো পুলিশ সাধারণ যাত্রী বেশে যুবকের স্ত্রী পিছু নেয়। যাত্রী বেশে যুবকের স্ত্রী সঙ্গে বাসে চেপে এগরা শহরে নেমেছিল। মহিলার অদূরে যাত্রী বেশে দাঁড়িয়ে যুবকের জন্য অপেক্ষা করছিল পুলিশ। পরিকল্পনা মতো ওড়িশা যাওয়ার আগেই স্ত্রীর সঙ্গে এগরা শহরে দেখা করে কথা বলছিল ওই যুবক। সেই সময় যাত্রী বেশে থাকা পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। ধৃতকে কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।      

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।