মুখে কাপড় বেঁধে নয় বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ

মেলা দেখার জন্য টাকা দেওয়া লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে মাছের ভেড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখে কাপড় বেঁধে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। অসুস্থ নাবালিকাকে রাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। পলাতক অভিযুক্ত যুবক।

বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যায় আনুমানিক ছটা নাগাদ নয় বছরের নাবালিকা বাড়ির সামনে রাস্তায় একা ঘুরতে বেরিয়েছিল। মা ও ঠাকুমা বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অভিযোগ প্রতিবেশী এক বছর তেইশের যুবক নাবালিকাকে মেলা দেখার জন্য পাঁচশো টাকার দেওয়ার লোভ দেখায়। যুবকের প্রলোভনে নাবালিকা রাজি হয়ে যায়। টাকা দেওয়া নাম করে নাবালিকাকে কাঁধে করে বাড়ির অদূরে একটি মাছের ভেড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কলাগাছের শুকনো ছাল দিয়ে নাবালিকার হাত ও পা বেঁধে দেওয়া হয়। চিৎকার যাতে না করতে পারে সে কারনে অভিযুক্ত যুবক নিজের পরনের গেঞ্জি খুলে নাবালিকার মুখে বেঁধে দেয়। ওই অবস্থায় ভেড়ির এক পাড়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। ঘটনা কাউকে জানালে নাবালিকাকে খুন করার হুমকি দেয় অভিযুক্ত যুবক। নাবালিকা মেয়ে সন্ধ্যার পরেও বাড়িতে না আসায় খোঁজ খুঁজি শুরু করেন মা ও ঠাকুমা। এলাকায় নাবালিকার খোঁজ শুরু হতেই অভিযুক্ত যুবক নাবালিকাকে ছেড়ে দেয় বলে দাবী। বাড়ি ফিরে ওই নাবালিকা কাঁদতে থাকে। মা ও ঠাকুমাকে পুরো ঘটনা বল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাতে ওই নাবালিকাকে পূর্ব মেদিনীপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পরে আপাতত সুস্থ হয়ে নাবালিকা বাড়িতে রয়েছে। শুক্রবার রাতে থানায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। পুলিশ নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করেছে। এই ঘটনায় গত এক সপ্তাহে পরপর এলাকায় নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে।            

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।