মহিলাকে সিমকার্ড বিক্রি করে সেই নম্বর অশ্লীল মেসেজ দেওয়ায় বেধড়ক মারধর যুবককে।
- Get link
- X
- Other Apps
এগরা- যুবকের দোকানে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড কেনার পর থেকে যত সমস্যা। মোবাইল নম্বরে যুবকের দিনের পর দিন অশ্লীন মেসেজ ও কুপ্রস্তাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ। প্রেণ দিবসের দিন বাজারে যুবককে হাতে নাতে পাকড়াও করে জুতোপেটা থেকে লাথি ঘুসি কিছুই বাদ পড়েনা উত্তেজিত জনতার। কান ধরে ওঠবস করে কোনোমতে রেহাই পায় সিম বিক্রেতা অভিযুক্ত যুবক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পলাশীর বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের এক যুবক মোবাইল ফোনে সিমকার্ড বিক্রির ব্যবসা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা এলাকায় যুবকের ব্যবসা থাকার সুবাদে এগরার কৌড়দা বাসস্টপ এলাকায় টোটো গাড়িতে করে সিমকার্ড বিক্রির করতে এসেছিল। সেই গাড়ি থেকে কয়েক মাস আগে কৌড়দা এলাকার এক গৃহবধূ যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড কেনেন। গৃহবধূকে সিম কার্ড দেওয়া সময় যুবক সেই নম্বর নিজের মোবাইলে সেভ করে নেয়। সেই নম্বর থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে গৃহবধূর মোবাইলে অশ্লীল মেসেজ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠে যুবকের বিরুদ্ধে। লজ্জায় যুবকের এই কান্ড প্রথমে স্বামীকে জানায় নি। ভেবে ছিলেন যুবককে বুঝিয়ে এই বিষয়ে বন্ধ করেবেন। গৃহবধূ পাল্টা যুবককে ফোনে মেসেজ করে এই সব থেকে বিতর থাকতে বলেন। ভবিষ্যতে তার নম্বরে কোন মেসেজ না পাঠানোর উপদেশ দেন। যুবক গৃহবধূর কথা অমান্য করে অশ্লীল মেসেজ ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। অসহনীয় পরিস্থিতিতে মহিলা বাধ্য হয়ে স্বামীকে এই বিষয়টি জানায়। শুক্রবার প্রেম দিবসে দিন সকালে কৌড়দা বাজারে ওই যুবককে দেখতে পায় মহিলার স্বামী। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে ঘটনার কথা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে সেই অজ্ঞতা নম্বরে মেসেজ করতে যুবকের ফোন বেজে ওঠে। তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত যুবক। মহিলার স্বামী সহ স্থানীয়রা অভিযুক্ত যুবককে প্রকাশ্য বাজারে বেধড়ক মারধর করা হয়। চলে চলেজুতো পেটা। কয়েকজন যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা স্বীকার ও কান ধরে ওঠবস করে ওই যুবক রেহাই পায়। সমাজ মাধ্যমে যুবককে জুতো পেটা ও মারধরের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment