কবর থেকে মৃত দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল


ভগবানপুর- শশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকা কালীন অসুস্থ হয়ে যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যুবকের পরিবারের খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যুবকের মৃত্যুর কারন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে রাধাপুরে। 

ভগবানপুরের পূর্বরাধাপুর গ্রামের বছর উনত্রিশের যুবক শেখ সাদ্দাম সেই গ্রামে এক তরুণীকে বছর বারো আগে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পরেই শশুরবাড়িতে থাকতেন। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। একই গ্রামে বাড়ি ও শশুরবাড়ি থাকায় নিয়মিত দুই বাড়িতে তাদের যাতায়াত ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে শশুর ও জামাই বাইকে করে ভূপতিনগরে মেলা গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শশুরবাড়িতে ফিরে সাদ্দাম অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে দাবী। শশুরবাড়ির অভিযোগ জামাইয়ের মৃগি রোগের কারনে মাটিতে শুয়ে ছটফট করেছিল। সেই সময় বাড়ির টিনের বেড়াতে মাথা লেগে কেটে গিয়ে রক্তপাত হয়। কিছু সময়ের পরে ছটফটানি বন্ধ হওয়ায় রাতে মুগবেড়িয়া গ্রামীন হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এদিকে দাদার এই অসুস্থতার খবর পেয়ে সেই রাতে ছোট ভাই তাদের বাড়িতে এসেছিল। দাদার অসুস্থতার পুরো ঘটনা নিচে দাঁড়িয়ে অনুধাবন করেছিল বলে দাবী। মুগবেড়িয়া গ্রামীন হাসপাতালে সেই রাতে যুবকের মৃত্যু হয়। অস্বাভাবিক ভাবে যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু হলেও হাসপাতাল দেহের ময়নাতদন্তের জন্য কোন হস্তক্ষেপ করেনি বলে দাবী। মৃতের আত্মীয়দের কথা মেনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃত দেহ তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। গত ২৮ তারিখ সকালে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে শশুরবাড়ির জায়গায় ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে যুবকের মৃত দেহ কবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে  যুবকের মৃত্যুর ঘটনা পিছনে খুন বলে সন্দেহ হয় যুবকের পরিবারের। গত ২ ফেব্রুয়ারি মৃত যুবকের ভাই দাদার মৃত্যু ঘটনায় ভগবানপুর থানায় শশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃত যুবকের শশুরকে সেই দিনেই গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় কাঁথি মহকুমা আলাদত মৃত দেহ করব থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার পুলিশি নিরাপত্তায় মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ কবর থেকে তোলা হয়। করব থেকে মৃতদেহ তোলার পুরো ঘটনা ভিডিওগ্রাফি করা হয়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরে মৃত্যু আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশাবাদী দুই পক্ষই। মঙ্গলবার সকাল থেকে মৃত দেহ কবর থেকে তোলা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। 
এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন 'আদালতের নির্দেশে মৃত দেহের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে দেহ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন হবে'।          

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।