পটাশপুরে বন্য শুয়োরের আশ্রয়ে আতঙ্কিত কৃষকেরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল পেরিয়ে পটাশপুর বাঘুইখালের ঝোপে আশ্রয় নিয়েছে বন্য শুয়োর। হিংস্র বন্য শুয়োরকে শিকার করতে এসেও ব্যার্থ হয়েছে আদিবাসীরা। বন্য শুয়োরের আতঙ্কে এলাকার কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ। বনদফতর তরফে খাঁচা পাতা হলেও কাজে আসেনি বলে দাবী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জলাভূমি থেকে এর উৎপত্তি হলেও বাঘুইখালের শেষ ভাগ রয়েছে পটাশপুরের মধ্যে। কেলেঘাইনদীর সঙ্গে এখানে বাঘুইখাল মিলিত হয়েছে। সেই বাঘুইখালের খড়ি ঘাসের জঙ্গলে বেশ কয়েকদিন ধরে একটি বন্য শুয়োর আশ্রয় নিয়েছে। অমরপুর ও কালোবাড় মৌজায় খালের জলাভূমি এলাকায় ঘড়ি ঘাসের জঙ্গল রয়েছে। এলাকায় কৃষকেরা মাঠে গেলে মাঝে মধ্যেই খড়ি ঘাসের জঙ্গল থেকে বন্য শুয়োরকে বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখে। মানুষের আনাগোনা দেখলে আবারো খড়ি ঘাসের জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে পূর্ণবয়স্ক এই বন্য শুয়োরটি। হিংস্র স্বভাবের এই বন্য শুয়োরকে নিয়ে আতঙ্কিত এলাকায় কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ। হিংস্র শুয়োরের আক্রমনের আশঙ্কায় ভয়ে একা কেউ মাঠে যাচ্ছে না। আগে কখনো এই ধরনের জন্তুকে এভাবে এলাকায় আসতে দেখেননি এলাকার মানুষ। এদিকে বন্য শুয়োরকে শিকার করতে গত এক সপ্তাহ ধরে খড়ি ঘাসের জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়িয়েছে একদল আদিবাসী। শুয়োরকে ধরতে একাংশ খড়ি ঘাসের জঙ্গলে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দিয়েছিল। তারপরেও বন্য শুয়োরের কোন নাগাল না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে শিকারীদের দললকে। আদিবাসীদের বন্য পশুকে শিকার করা নিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বাধা দিয়েছিল। এগরা বিট অফিসের কর্মীরা এলাকায় খাঁচা পাতলেও বন্য শুয়োর ধরা পড়েনি বলে দাবী। বন্য শুয়োরকে যাতে নিরাপদে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় দাবী করলেন কৃষকেরা। পাশেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে এই ধরনের বন্য শুয়োরের আনাগোনা লেগেই থাকে। শিকারীদের তাড়া খেয়ে বাঘুইখাল পেরিয়ে এই বন্য শুয়োর এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবী। খড়ি ঘাসের ঘন জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার থাকায় নতুন পরিবেশে থাকায় খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে না বলে দাবী পরিবেশ কর্মীদের। নিরিবিলি খাল পাড়ে জঙ্গলে নিশ্চিতে আশ্রয় নিয়েছে বন্য শুয়োরটি। জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে বন্য জন্তুটি ঢুকে পড়লে সমস্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্য শুয়োর দেখতে নিয়ম করে জঙ্গলের পাশে ভিড় করছেন এলাকার মানুষ।
Comments
Post a Comment