যাত্রী প্রতীক্ষা লয়ে জল কাদায় মশা আতুড় ঘর।


ভগবানপুর- যাত্রী প্রতীক্ষালয়, না কি নর্দমা দূরথেকে বোঝাই দায়। বসন্ত ঋতুতেও যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কাদা জল থৈথৈ করছে। জমাজলে মশা মাছির প্রজননের আঁতুড় ঘর তৈরী হয়েছে। মানুষ তো দূর ভুল করে গরু ছাগল নর্দমাময় যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে পা বাড়ায় না। নীচু জমি ও দখলদারির কারনে পুরনো যাত্রী প্রতীক্ষালয় মেরামতি করা যাচ্ছে না দাবী প্রশাসনের। 

গুরুত্বপূর্ণ এগরা বাজকুল রাজ্য সড়কের পাশে কলাবেড়িয়া বাসস্টপ রয়েছে। বাসস্টপকে কেন্দ্র করে একাধিক বাজার বসে। শতাধিক দোকানপাট সহ একাধিক হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আশপাশের কুড়ি থেকে পঁচিশটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র প্রাণকেন্দ্র। রাজ্য সড়কের নীচ দিয়ে বাজারের মাঝ বরাবর বয়ে গিয়েছে কলাবেড়িয়া খাল। খালের উপর পাকা ব্রিজ রাজ্য সড়ককে যুক্ত করেছে। ব্রিজের পশ্চিম পাশে কয়েক দশকের পুরনো পাকা যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে। বাসের জন্য এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে মানুষজন দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতেন। গ্রীষ্মকালে বিশ্রামের জন্য মুল ভরসাছিল এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়। রাজ্য সড়ক মেরামতির কারনে ক্রমশ উঁচু হয়েছে রাস্তটি। সেই তুলনায় রাজ্য সড়ক থেকে নীচুতে অবস্থান করছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। রাস্তার দুপাশে পূর্ত দফতরের জমি দখলকরে বেআইনি দোকান বাড়ি তৈরী হওয়ায় নিকাশি ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলেই রাস্তার জলকাদা গড়িয়ে অনায়াসে ঢুকে পড়ে এই বিশ্রামাগারে। সেই জমা জলকাদা সহজে বের করার উপায় থাকেনা। একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে প্রতীক্ষালয়ে ভিতরে নোংরা পরিস্কার করা হলেও সেটা সাময়িক। ব্লক প্রশাসনের তরফে নোটিশ লাগিয়ে এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে যাত্রী প্রতীক্ষালয় পরিস্কার রাখার আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে কোন কাজ হয়নি বলে দাবী প্রশাসনের। এই বসন্তে ফুলের সুবাসিত পাওয়ার বদলে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জমাজল থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। জমা জলে মশার আতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে। জলে মশা বংশবৃদ্ধি হওয়ার এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। মানুষজন দূরস্ত ভুল করে নর্দমাময় যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে পা বাড়ায় না গরু ছাগলেরা। একমাত্র যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে বেহাল অবস্থায় রাস্তার পালে রোদ বৃষ্টিতে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। হাল ফেরাতে একাধিক বার ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে ও হয়নি কাজ। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে দুপাশে পূর্তদফতরের জায়গায় বেআইনি দোকান ও বাড়ি তৈরী হয়েছে। জমি দখল হয়ে যাওয়ায় চাইলেও সংকীর্ণ জমিতে পুরনো যাত্রী প্রতীক্ষার ভেঙে নতুন করতে পারছেনা প্রশাসন। দখলমুক্ত করে নিকাশিনালা তৈরীতে থাকছে প্রতিবন্ধকতা। উচ্ছেদে অভিযানে গেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আবদারে হাতগুটিয়ে ফিরে আসছে প্রশাসন। বেহাল যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে হাল কবে ফিরবে সেই আশায় এলাকায় মানুষ। 

সমীরণ পড়য়্যা নামে এক যাত্রী বলেন ' বাসের জন্য নিত্যদিন রাস্তার উপর রোদ বৃষ্টিতে অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রী প্রতীক্ষালয় নর্দমা ও নোংরায় ভর্তি। যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি যাতে আগের মতো বসবাস যোগ্য করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন'। 

ভগবানপুর-১ বিডিও বিকাশ নস্কর বলেন ' নীচু হওয়ার কারনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে বৃষ্টি জল গড়িয়ে জমা হয়। জায়গায় দখল করে দোকান বাড়ি তৈরী হওয়ায় নতুন করে যাত্রী প্রতীক্ষালয় সংস্কার করা যাচ্ছে না। যাত্রীদের কথা ভেবে বিকল্প কিছু করার পরিকল্পনা করা হবে'।     

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।