উত্তর চব্বিশ পরগনায় কিডনি পাচার চক্রের কিংপিন ধৃত গুরুপদ জানার কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ভূপতিনগরে মানিকজোড়ে।
- Get link
- X
- Other Apps
এগরা- কোটিপতি হলেও জীবন যাপনে অতি সাধারণ মানের। সাধারণ পোশাক ও হাতে মুঠো ফোন ব্যবহার করতেন। বাড়ি এলে সাইকেল নিয়ে গ্রামে ঘুরতেন। পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতেন। সেই ছেলেই কিডনি পাচার চক্রের মূল ষড়যন্ত্রী শুনে হতবাক বৃদ্ধ মা থেকে প্রতিবেশীরা। একাধিক ভাষায় অনর্গল কথা বলার দক্ষতা ছিল গুরুপদের।
উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগরে কিডনি পাচার চক্রের মূল চক্রী ধৃত বছর চল্লিশের গুরুপদ জানা ওরফে অমিতের বাড়ি ভূপতিনগরে মাণিকজোড় গ্রামে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কাজের সূত্রে বছর সেই ছোট বয়সেই বাড়ি ছেড়েছিল গুরুপদ। গুজরাত, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ একাধিক রাজ্য শ্রমিকের সে কাজ করেছে। পরবর্তীতে বছর পনেরো ধরে কলাকাতায় রয়েছে। কলকাতায় কি কাজ করতো বাড়ির কেউ জানেনা। শুধু বলতো একটি ভালো সংস্থায় মোটা মাইনের সে চাকরি করে। বাড়িতে দুই ভাই। দাদা প্যান্ডেল তৈরীতে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চলে। গুরুপদের রোজকার ভালো থাকার সুবাদে বৃদ্ধ মাকে নিজের কাছে রেখেছে। মাণিকজোড় গ্রামে দুই ভাইয়ের আলাদা করে পাকা বাড়ি রয়েছে। গুরুপদের বাড়িতে তার স্ত্রীর ও দুই সন্তান, বৃদ্ধা মা থাকেন। স্ত্রী সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে পা ভেঙে যাওয়ায় বাপের বাড়িতে রয়েছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় থাকার সুবাদে সে মাসে দুথেকে তিনবার গ্রামের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। মাঝের বছর পাঁচেকের মধ্যেই সে কয়েক কোটি টাকার জায়গা সম্পত্তি কিনে ফেলেছে। ইটাবেড়িয়া রাজ্য সড়কের পাশে সেই সকল জায়গা ইটের দেওয়াল তুলে ঘিরে দিয়েছে। সম্প্রতি মাস দেড়েক আগে ইটাবেড়িয়া বাজারে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি দ্বিতলা পাকা বাড়ি কিনেছে। কোটি টাকার মালিক হলেও বাড়িতে আসতেন বাসে। অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সাধারণ পোশাকে হাতে মুঠো ফোন থাকতো। গ্রামে সাইকেল নিয়ে ঘুরতেন। বাজারে গিয়ে বন্ধু ও পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডা মারতেন। শেষ দুসপ্তাহ আগে পঞ্চম দোল উপলক্ষে মাণিকজোড় গ্রামে এসেছিল। গ্রামের একটি ক্লাবকে দোল উপলক্ষে দশ হাজার টাকা সে চাঁদা দিয়েছিল বলে দাবী। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে থাকার সুবাদে সে অনর্গল হিন্দি ও ইংরেজির পাশাপাশি একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারেন। বুধবার সেই যুবকের গ্রেফতারে কান্নায় ভেঙে পড়েছে বৃদ্ধা মা। গুরুপদের কান্ডে হতবাক প্রতিবেশী থেকে বন্ধ বান্ধবেরা।
গুরুপদের বৃদ্ধা মা সিন্ধু বালা জানা বলেন ' শুনেছি ছেলেকে পুলিশ ধরেছে। কলকাতায় ছোট বেলা থেকে থাকে। সেখানে কি কাজ করে কখনো বাড়িতে বলতো না। কি কারণে তাকে ধরেছে সেটা জানিনা। এখন কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা'।
এক প্রতিবেশী জানান ' অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। কি ভাবো কোটি কোটি টাকা রোজকার করতো সকলের কাছে অজানা। সাইকেল নিয়ে ঘুরতো। সেই কিনা কিডনি পাচার চক্রের ধৃত শুনে অবাক লাগছে'।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment