বাইক চুরি চক্রে যুক্ত খড়্গপুরের মুদি দোকানী থেকে সাঁকরাইলের বাস কন্ডাক্টর


এগরা- ঝাড়গ্রামে সাঁকরাইল থেকে বাসে চেপে এগরা শহরে বাইক চুরি করতে আসতো। বাইক চুরির পরে সেই বাইকে চড়ে এগরা থেকে গন্তব্যে ফিরে যেতেন। পরপর বাইক চুরির ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাইক চোরকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বাইক চুরি চক্রে যুক্ত এক মুদি দোকানী সহ বাস কন্ডাক্টর গ্রেফতার হয়েছে। 

এগরা শহর থেকে গত এক মাসে পরপর বেশ কয়েকটি বাইক চুরির অভিযোগ আসছিল। বাইক চুরির ঘটনায় পুলিশ কোন কিনারা করতে পারছিলনা। এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ সন্দেহভাজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে। এদিকে এগরা শহরে পুলিশের সক্রিয়তার খবর পেয়েই অভিযুক্ত যুবক এগরা শহরে আসা বন্ধ করে দিয়েছেছিল। ফলে বেশ কয়েক সপ্তাহ বাইক চুরি বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সাদা পোশাকে এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল। ঝাড়গ্রামের বাসে চড়ে আবারো এগরা শহরে বাইক চুরির জন্য এসেছিলেন সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি। শুক্রবার বাস থেকে নামার মুহুর্তে এগরা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। ধৃত ব্যক্তি গৌতম মহাপাত্র ঝাড়গ্রামের কুলটিকরিতে। ওই যুবক এলাকায় বাইক চুরির জন্য ঝাড়গ্রাম ও সাঁকরাইল গামী বাসে চড়ে এগরা সহ এই জেলায় বিভিন্ন জনবহুল বাজর ও শহরে নামে। সুযোগ বুঝে বাইক চুরি করে সেই বাইকে চড়ে এলাকা থেকে চম্পট দিতেন। এগরার শহর থেকে কয়েক মাসে আটটি বাইক চুরির অভিযোগ উঠে। সেই বাইক চুরির বাইকে করে এগরা শহরে হরিপুর রাস্তা ধরে বেলদা হয়ে খড়গপুরে নিয়ে যেতো। খড়গপুরে এক মুদি দোকানী বিকাশ মান্নার সেই সব বাইক ক্রয় করতো বলে দাবী। মুদি দোকানীর কাছ থেকে থেকে বাইক বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো সাঁকরাইলের বাস কন্ডাক্টর লাল্টু খিলাড়ি। লাল্টু চুরি করা সেই সব বাইক এলাকায় বিক্রি করতো। বাইক বিক্রির পাশাপাশি তাদের বাইকের নকল কাগজপত্র তৈরী করে দিতেন। শুক্রবার রাতে পুলিশ খড়গপুরের মুদি দোকানী শাকপাড়ার বাসিন্দা বিকাশ মান্না সহ সাঁকরাইলের এজেন্ট লাল্টু খিলাড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ চুরি যাওয়া একাধিক বাইক উদ্ধার করেছে। 

এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন ' একাধিক বাইক চুরির ঘটনায় ঝাড়গ্রাম ও খড়গপুর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকটি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে'।              

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।