কর্নাটক থেকে সাইকেল চালিয়ে দীঘায় জগন্নাথ মন্দি দর্শনে এলেন নাগরাজ

সাইকেল চালিয়ে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির দর্শনে এলেন কর্নাটকের নাগরাজ


 অভাব তাকে ভ্রমণের নেশা থেকে দমাতে পারেনি। পথ চলার সঙ্গী সেই দুই চাকার সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়া। সাইকেলে চড়েই ভ্রমণে বেরিয়ে সুদূর কর্ণাটক থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে এলেন কর্নাটকের হাসান জেলার নাগরাজ গৌড়া। শান্তি ও সনাতন ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে বাড়িঘর ছেড়ে নিজের একমাত্র সঙ্গী দু’চাকার সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন কর্নাটকের নাগরাজ। পেপার পত্রিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কথা শুনে দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। শেষমেষ মঙ্গলবার মহাযজ্ঞের দিন সকাল সকাল উড়িষ্যা হয়ে দিঘায় হাজির হলেন নাগরাজ। নাগরাজের বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুই। ২০১৭ সালে বাড়িঘর ছেড়ে ধর্ম প্রচার ও শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ১৭টি রাজ্য ভ্রমণ করেছেন নাগরাজ। দেখা করেছেন পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও। তাদের সাথে হাত মিলিয়ে জল অপচয় রোধের বার্তা দিয়েছেন তিনি। দেখা করেছেন সোনু সুদের মতো বিখ্যাত মানুষজনদের সাথেও। এমন পরিস্থিতিতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কথা বিভিন্ন রাজ্যের লোক মুখে শুনেছেন নাগরাজ। সেই কথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থাপত্য কৃর্তী নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করতে সাইকেলের হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে দিঘার জগন্নাথ ধামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন নাগরাজ। মঙ্গলবার সকালে ঘুরে দেখেন জগন্নাথ ধাম। সকলকে সনাতন ধর্ম ও জগন্নাথের কথা শোনান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করার জন্য বুধবার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন পর্যন্ত থাকবেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরূপ মন্দিরের জন্য শুভেচ্ছা জানাবেন তাকে। এরপর তিনি যাবেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। সেখান থেকে কন্যাকুমারী। এরই মাঝে পথে পথেই নাওয়া- খাওয়া সারছেন নাগরাজ। নাগরাজের দাবি, রাজনীতির কারণে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কালিমালিপ্ত করেন তাদের পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ দেখে যাওয়া উচিত। নাগরাজের সাইকেলে চড়ে দিঘায় জগন্নাথ ধাম আসার কথা শুনে তাকে দেখতে ভিড় জমান অনেকেই। কেউ আবার তুলতে থাকেন নিজস্বী। নাগরাজ জানান, “গোটা বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছি। বাড়িতে আমার কেউ নেই। সকলকে শান্তির বার্তা ও সনাতনের প্রচার করার জন্য আমার এই সাইকেল যাত্রা।”
—-

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।