রাতে হারভেস্টার বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল শালা ও জামাই বাবুর


পটাশপুর- রাতে ট্রাক্টরের পিছনে ট্রলারের উপস্থিতি টের পায়নি বাইক আরোহী জামাইবাবু ও শালা। ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যেই রাজ্য সড়ক ধরে বাইকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলারে ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল শালা ও জামাইবাবুর। রাতের হারভেস্টার বোঝাই ট্রাক্টরের ট্রলার গুলিতে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

শনিবার বিকেলে পটাশপুরে বলভদ্রপুর গ্রামে শশুরবাড়িতে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কুশসানের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ পন্ডা(৫৬)। রাতে শশুরবাড়ি থেকে শালা বানেশ্বর পতির(৩৫) বাইকে দুজনে কুশবসানের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পটাশপুর তেমাথানি রাজ্য সড়ক ধরে শালা বানেশ্বর বাইক চালাচ্ছিলেন। সেই বাইকের পিছনে ছিলেন জামাইবাবু শিবপ্রসাদ। দুজনে মাথায় কোন হেলমেট ছিলনা। নৈপুরের হাজিপুর ঢালাই রাস্তার মোড়ের অদূরে হারভেস্টার আনতে পটাশপুরের দিকে ট্রাক্টরের ট্রলার নিয়ে আসছিল কয়েকজন। উল্টো দিকে নৈপুরের দিকে যাচ্ছিল শালা ও জামাইবাবু। জড়ো বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যেই ট্রাক্টরের পিছনে যুক্ত ট্রলারের উপস্থিতি টের পায়নি বাইক আরোহীরা। ট্রলারের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনের। তবে ট্রলারটি ধাক্কা মেরে পটাশপুরের উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসে। পটাশপুরে পুলিশ অভিযুক্ত ট্রাক্টর সহ ট্রলারকে আটক করেছে। রাতে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর  মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। বরোধান কাটার মরসুম শুরু হওয়ায় ওড়িশা ও ঝাড়খন্ড থেকে প্রচুর হারভেস্টার পটাশপুরে আসছে। রাতে এই ট্রাক্টরের ট্রলার জুড়ে দিয়ে হারভেস্টার গুলি নিয়ে আসা হয়। রাতে ট্রাক্টরের সামনে দুটি আলো দেখে দূর থেকে ট্রলারগুলির উপস্থিত সহজে টেরপায়না অনান্য বাইক ও গাড়ির চালকেরা। ট্রলারে আলাদা করে কোন আলো বা দৃশ্যমানতার কিছু ব্যবস্থা থাকেনা। ট্রাক্টরের আলো দেখে ছোট গাড়ি আসছে ভেবে পাশা কাটাতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত কয়েকদিনে এই ভাবে পটাশপুর সহ এগরা এলাকায় এই হারভেস্টারে বোঝাই ট্রলারে পথ দুর্ঘটনায় সংখ্যা বেড় দাঁড়িয়েছে পাঁচটি। তবে পটাশপুরের শুধুমাত্র মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ ও ট্রাফিক ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলছে পথচারী বাইক আরোহী থেকে অনান্য যানবাহন। পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন চিহ্ন। 

দুর্ঘটনায় মৃতের পরিজনেরা বলেন ' ট্রাক্টরের যুক্ত  ট্রলার আসার কোন আগাম সংকেত ছিলনা। রাতের অন্ধকারে দূরে সামনে থেকে বোঝার উপায় নেই। স্বাভাবিক গাড়ি আসছে আন্দাজ করে বাইকে যাওয়ার সময় ট্রলারে ধাক্কায় নিরীহ ব্যক্তিদের মৃত্যু হল। এই দায় কি এড়াতে পারবে পুলিশ'। 

এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন ' রাতের ট্রাক্টর সহ অনান্য গাড়ি রাজ্য সড়কে তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জোর দেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক নিয়ম না মানলে ট্রাক্টর গুলিকে প্রয়োজনে আটক করা হবে'।       

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।