ISRO যুব বিজ্ঞানী কর্মশালায় সুযোগ পেলো এগরার মেধাবী ছাত্র আদিত্যজ্যোতি।


এগরা- ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর যুব বিজ্ঞানী কর্মশালায় সুযোগ পেলেন এগরা পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র আদিত্যজ্যোতি কর। দুসপ্তাহের এই কর্মশালায় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি হাতেকলমে মহাকাশ গবেষণা কাজ করতে পারবে এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। 

এগরা পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র আদিত্যজ্যোতি কর প্রথম থেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে ভালো বাসে। এগরা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক কনককান্তি করের ছেলে আদিত্যজ্যোতি। মা সুমিতা কর গৃহকর্মী। ছোট বয়সে তার মহাকাশ গবেষণার প্রতি অগাধ ঝোঁক রয়েছে। পাবলিক স্কুলে নবম শ্রেণীতে পরীক্ষার আগে ইসরোর যুব বিজ্ঞানী কর্মসূচিতে (ইউভিকা) যোগদানে প্রস্তুতি নিয়েছিল। সেই মতো ফেব্রুয়ারিতে এই কর্মশালার প্রবেশিকা জন্য সর্বভারতীয় অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষার সফল হওয়ার পরেই ইসরোর (ইউভিকা) তরফে চূড়ান্ত প্রকাশিত তালিকায় আদিত্যজ্যোতি করের নাম আসে। সেই মর্মে ইসরোর (ইউভিকা) তরফে স্কুলে ইমেল পাঠিয়ে তাদের কর্মশালায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। দুসপ্তাহের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার সুনিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্রের প্রয়োজনীয় নথি নির্দিষ্ট বিভগে জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়। সেই মতো আদিত্যজ্যোতি সমস্ত নথি ইসরোর যুব বিজ্ঞানী বিভাগে জমা করে স্কুল কতৃপক্ষ। আগামী ১৫ মে অন্ধ্রপ্রদেশে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার  যুব বিজ্ঞানী কর্মসূচি শুরু হবে। সেই শিবিরে থাকার জন্য ছাত্রদের মোবাইল, ল্যাপটপ ও হেড ফোন সহ যাবতীয় সরঞ্জাম ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া বাধ্যতা মূলক বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এই বছর রাজ্য থেকে ইসরোর এই যুব বিজ্ঞানী কর্মসূচিতে চারজন সুযোগ পেয়েছে। ইসরোর যুব বিজ্ঞানী কর্মসূচিতে গবেষণার সুযোগ পাওয়া খুশি আদিত্যজ্যোতি সহ গোটা পরিবার ও এগরা পাবলিক  স্কুল। 

দশম শ্রেণীর ছাত্র আদিত্যজ্যোতি কর বলেন ' টিভিতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিভিন্ন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সহ চাঁদে মহাকাশ যান পাঠানো দৃশ্য দেখতাম। মহাকাশ বিজ্ঞানের সামিল হওয়ার জন্য মনে ভাবতাম। সেই চেষ্টা প্রাথমিকভাবে আমি অর্জন করতে পেরেছি। বিশিষ্ট  বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা হবে গবেষণা সুযোগ পাবো এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা'।

স্কুলের অধ্যক্ষ তপন কুমার কর বলেন ' স্কুলে পড়াশোনায় মেধাবী ছাত্র আদিত্যজ্যোতি কর। স্বপ্ন দেখতেন মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়া। তাই সাফল্যে আমরা খুবই গর্বিত'।            

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।