পরচুলা তৈরীর রং খেয়ে মৃত্যুর প্রবণতা বেড়েই চলেছে

গত ২০২৪ সালে জুন থেকে এবছর জুন পর্যন্ত গত এক বছরে ভগবানপুর থানা এলাকায় শুধুমাত্র পরচুলা তৈরীর রংয়ের তরল খেয়ে আত্মহত্যা ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নজনের। এই মৃতদের তালিকায় কোথায় রয়েছে পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান থেকে গৃহবধূ থেকে যুবকেরা। মৃতদের অধিকাংশই মহিলারা। পরচুলা তৈরী ভগবানপুরে কুটির শিল্পের আকারে চলে। এলাকার প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই পরচুলা তৈরীর করে তাদের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটে। পরচুলা তৈরীর পরে ফিনিশিং শেষে চুলকে কালো করতে রংয়ের ব্যবহার করা হয়। ফলে এই উপাদানগুলি প্রত্যেকের বাড়িতে রয়েছে। রংয়ের মিশ্রণে অ্যাসিড থাকার মানবশরীরে প্রানঘাতী হিসেবে দেখা যায়। পারিবারিক অশান্তি বা অবসাদে আত্মহত্যার ক্ষেতে বিষ হিসেবে হাতের কাছে থাকা এই পরচুলা তৈরীর রং পান করছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রধান নবনীতা কুইলি বর্মনের(৩৩) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পিছনে এই পরচুলা তৈরীর রং খেয়েছিল বলে দাবী। অসুস্থ অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নবনীতার মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছিল। মৃত্যুর কারণ হিসেবে পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদ থেকে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছিল। গত ২১ জুন ভগবানপুরের সুবোধপুর গ্রামের সুলেখা শীট(৩৭) নামে মহিলা পরচুলা তৈরীর রংয়ের তরল খেয়েছিল। সেই রাতে ভগবানপুর গ্রামীন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করে। মানসিক অবসাদ থেকে বিষ পান করে বলে পুলিশ জানিয়েছিলেন।

Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।