খুনি ধরতে গিয়ে সাপের ছোবল খেলো পুলিশ
- Get link
- X
- Other Apps
এগরা- গভীররাতে খুনিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে বিষধর সাপের ছোবলে আহত হলো পুলিশ কর্মী। আহত পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করা রাতে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে খুনে অভিযুক্ত।
এগরার মল্লিকপুরে গত সোমবার সকালে নয়ানজুলি থেকে নিখোঁজ বছর কুড়ির যুবক অর্দ্ধেন্দু পাহাড়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃত দেহের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যুবককে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়ার সন্দেহ করে পরিবার। সেই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এগরা থানার মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ এগরা থানার পুলিশ বাহিনী মল্লিকপুর গ্রামে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায়। খুনে অভিযুক্ত যুবক রঞ্জিত মাইতির বাড়ি মল্লিকপুরে জলামাঠের মধ্যে। পুলিশ কর্মীরা ঝোপঝাড় ও জলাজমি পেরিয়ে রাতে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। জলাজমিতে যাওয়ার সময় এগরা থানার এক পুলিশ কর্মীকে (কনেস্টবল) বিষধর সাপে ছোবল মারে। সেই রাতে খুনের অভিযুক্ত সহ সাপের কামড়ে আহত পুলিশ কর্মীকে দুজনকে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাপের কামড়ে আহত পুলিশ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবী পুলিশ কর্মীকে চন্দ্রবোড়া সাপে ছোবল মেরেছে। বর্তমানে ওই পুলিশ কর্মীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে খুনের অভিযোগে ধৃত দুষ্কৃতী রবিবার রাতে মল্লিকপুরে ফাঁকা রাস্তায় গাজার আড্ডায় ছিল বলে পুলিশের দাবী। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন ' খুনের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মীকে জলাজমিতে সাপে কামড় দিয়েছে। কলকাতায় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন'।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment