বটির কোপ মারার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলে


পটাশপুর- সকালে নেশার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল গুনধর ছেলে। টাকা না দেওয়ায় রাগে রান্না ঘরের ধারালো বটি নিয়ে মায়ের গলায় কোপ মারলো ছেলে। তড়িঘড়ি আহত মহিলাকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্ত ছেলেকে। 

পটাশপুরের হাট গোপালপুরের বাসিন্দা নিয়তি দলপতির দুই ছেলে। বাড়িতে চাষবাস করে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। দুই ছেলে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাছ করতে থাকতো। বছর দুয়েক যাবত বছর পঁচিশের বড়ো ছেলে কৌশিক দলপতি বাড়িতে রয়েছে। অভিযোগ বাড়িতে থাকার সুবাদে প্রতিনিয়ত বন্ধুদের সঙ্গে মদ ও গাঁজার নেশায় ডুবে থাকে। হাতে কাজ না থাকায় নেশার জন্য বাবা ও মায়ের কাছে টাকা চাইতো। চাহিদা মতো টাকা না দিলে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটাতো। বুধবার সকালে বাবা মাঠে চাষের জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে যায়। বাড়িতে মা ও ছেলে ছিল। নেশার জন্য মাকে টাকা চেয়েছিল গুনধর ছেলে কৌশিক। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে গালিগালাজ করতে থাকে কৌশিক। দুজনের মধ্যে বচসা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে ছুটে গিয়ে রান্না ঘরে থাকা ধারালো বটি নিয়ে এসে মায়ের গলায় কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। হাত দিয়ে ধারালো বঁটি সরিয়ে মহিলা বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ধারালো অস্ত্রের কোপে মহিলার শ্বাসনালির বেশ কিছুটা কেটে যায়। মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় গলায় হাত চেপে ধরে মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন মহিলা। স্থানীয়রা আহত মহিলাকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পটাশপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ছেলেকে বাড়ি থেকে আটক করেছে। যদিও ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই গোপালপুর ও হাটগোপালপুর , পাথরঘাটা এলাকায় বেআইনি মদ ও গাঁজার রমরমিয়ে ব্যবসা চলে। চব্বিশ ঘন্টা এলাকার যুবকেরা নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। পুলিশ মাঝে মধ্যেই ধড়পাকড় চালালে সাময়িক করাবার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার বেআইনি কারবারে জাঁকিয়ে বসে। এক শ্রেনীর রাজনৈতিক নেতাদের প্রশয়ে দিনদিন এলাকায় এই কারবার চলছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। 

এগরা মহকুমায় পুলিশ আধিকারিক দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন ' মায়ের গলায় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনায় যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি'।     


Comments

Popular posts from this blog

আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বকুনিতে অভিমানে আত্মহত্যা কিশোরের।

এগরার যুবকের সঙ্গে সাতপাঁকে বাঁধা পড়লো বাংলাদেশী কন্যা।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনায় সেই যুবকের মৃত্যু হল।