Posts

পকসো আইনে গ্রেফতার শিক্ষক

এগরা- স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের মারধরের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব পন্ডাকে গ্রেফতারের করলো।  ক্ষিপ্ত জনতারা বিক্ষোভের মধ্যেই একাধিক শ্রেনী কক্ষের ঢুকে চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ সহ সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষকের মোটর বাইকে। স্কুলে অস্থির পরিস্থিতির জেরে শনিবার পর্যন্ত স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। স্কুল ছুটির জেরে স্কুলে হয়নি শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান। আহত ছাত্র ছাত্রীরা সকলেই সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছে।  এগরার অস্তিচক সুরেন্দ্র যোগেন্দ্র বিদ্যাপীঠে শুক্রবার ইংরেজি শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। পরিবর্ত হিসেবে তৃতীয় ক্লাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক বিপ্লব পন্ডা অষ্টম শ্রেনীর 'সি' বিভাগে ইংরেজি বিষয়ে ক্লাস নিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই সময়ের ছাত্র ছাত্রীরা পড়া না দেওয়ায় সতেরোজন ছাত্র ছাত্রীদের মারধর করে। শিক্ষকের মারে অসুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের গঙ্গাধরবাড় গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই কয়েকশ ক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে ঢুকে পড়ে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকে চলে বিক্ষোভ। স্টাফ রুমে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত শিক্ষকদের আটকে রাখে বিক্ষোভকারীরা...

শিক্ষকের মারে অসুস্থ ১৫ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হাসপাতালে। স্কুলে বিক্ষোভ ভাঙচুর

এগরা- শ্রেনী কক্ষের মধ্যে ইতিহাসের শিক্ষকের এলোপাথাড়ি লাঠির আঘাতে আহত হলো ১৫ জন ছাত্রী সহ মোট সতেরো জন পড়ুয়া। আহত ছাত্র ছাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলের স্টাফ রুমে তালা বন্ধ করে শিক্ষকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটতে হয়েছে মহকুমা শাসক থেকে পুলিশ আধিকারিকদের।  এগরার অস্তিচক সুরেন্দ্র যোগেন্দ্র বিদ্যাপীঠে বৃহস্পতিবার অষ্টম শ্রেনীর তৃতীয় ক্লাসে নিয়েছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক । ওই শিক্ষকের বাড়ি কাঁথিতে। অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীরা পড়া না পারায় বেশ শ্রেনী কক্ষের মধ্যে ১৫ জন ছাত্রী সহ দুজন ছাত্রকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। শিক্ষকের এলো পাথাড়ি মারধরে হাতে ও পায়ে একাধিক জায়গায় রক্তপাতের মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়। টিফিনের পরে অন্য এক শিক্ষক শ্রেনী কক্ষে পড়াতে এলেই এই বিষয়টি জানতে পারেন। আহত ছাত্র ছাত্রীরা বেঞ্চে শুয়ে পড়ে কাতরাচ্ছিল। প্রধান শিক্ষক সহ অনান্য সহকারী শিক্ষকেরা এসে আহত ছাত্র ও ছাত্রীদের অফিস ঘরে নিয়ে যায়। স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ব্যাথা নাশক স্প্রে ও মলম আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে লাগিয়ে দিয়ে ...

সার্ভিস রিভালবার থেকে গুলি করে বাবা ও মাকে খুন

বাবা,মাকে গুলি করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর জয়দেব চট্টোপাধ্যায়। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অভিযুক্ত জয়দেবকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। কেন এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর গৌরিয়ামঠের একটি ভাড়া বাড়িতে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ডিউটি থেকে বাড়ি ফেরেন ওই পুলিশ কর্মী। এরপরেই এই ঘটনা।  

বটির কোপ মারার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলে

পটাশপুর- সকালে নেশার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল গুনধর ছেলে। টাকা না দেওয়ায় রাগে রান্না ঘরের ধারালো বটি নিয়ে মায়ের গলায় কোপ মারলো ছেলে। তড়িঘড়ি আহত মহিলাকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্ত ছেলেকে।  পটাশপুরের হাট গোপালপুরের বাসিন্দা নিয়তি দলপতির দুই ছেলে। বাড়িতে চাষবাস করে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। দুই ছেলে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাছ করতে থাকতো। বছর দুয়েক যাবত বছর পঁচিশের বড়ো ছেলে কৌশিক দলপতি বাড়িতে রয়েছে। অভিযোগ বাড়িতে থাকার সুবাদে প্রতিনিয়ত বন্ধুদের সঙ্গে মদ ও গাঁজার নেশায় ডুবে থাকে। হাতে কাজ না থাকায় নেশার জন্য বাবা ও মায়ের কাছে টাকা চাইতো। চাহিদা মতো টাকা না দিলে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটাতো। বুধবার সকালে বাবা মাঠে চাষের জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে যায়। বাড়িতে মা ও ছেলে ছিল। নেশার জন্য মাকে টাকা চেয়েছিল গুনধর ছেলে কৌশিক। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে গালিগালাজ করতে থাকে কৌশিক। দুজনের মধ্যে বচসা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে ছুটে গিয়ে রান্না ঘরে থাকা ধারালো বটি নিয়ে এসে মায়ের গলায় কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। হাত দিয়ে ধারাল...

খুনি ধরতে গিয়ে সাপের ছোবল খেলো পুলিশ

এগরা- গভীররাতে খুনিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে বিষধর সাপের ছোবলে আহত হলো পুলিশ কর্মী। আহত পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করা রাতে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে খুনে অভিযুক্ত।    এগরার মল্লিকপুরে গত সোমবার সকালে নয়ানজুলি থেকে নিখোঁজ বছর কুড়ির যুবক অর্দ্ধেন্দু পাহাড়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃত দেহের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যুবককে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়ার সন্দেহ করে পরিবার। সেই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এগরা থানার মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ এগরা থানার পুলিশ বাহিনী মল্লিকপুর গ্রামে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায়। খুনে অভিযুক্ত যুবক রঞ্জিত মাইতির বাড়ি মল্লিকপুরে জলামাঠের মধ্যে। পুলিশ কর্মীরা ঝোপঝাড় ও জলাজমি পেরিয়ে রাতে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। জলাজমিতে যাওয়ার সময় এগরা থানার এক পুলিশ কর্মীকে (কনেস্টবল) বিষধর সাপে ছোবল মারে। সেই রাতে খুনের অভিযুক্ত সহ সাপের কামড়ে আহত পুলিশ কর্মীকে দুজনকে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে নিয়ে ...

নেশার টাকা না দেওয়ায় মাকে বটির কোপ

পটাশপুর- সকালে নেশার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল গুনধর ছেলে। টাকা না দেওয়ায় রাগে রান্না ঘরের ধারালো বটি নিয়ে মায়ের গলায় কোপ মারলো ছেলে। তড়িঘড়ি আহত মহিলাকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্ত ছেলেকে।  পটাশপুরের হাট গোপালপুরের বাসিন্দা নিয়তি দলপতির দুই ছেলে। বাড়িতে চাষবাস করে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। দুই ছেলে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাছ করতে থাকতো। বছর দুয়েক যাবত বছর পঁচিশের বড়ো ছেলে কৌশিক দলপতি বাড়িতে রয়েছে। অভিযোগ বাড়িতে থাকার সুবাদে প্রতিনিয়ত বন্ধুদের সঙ্গে মদ ও গাঁজার নেশায় ডুবে থাকে। হাতে কাজ না থাকায় নেশার জন্য বাবা ও মায়ের কাছে টাকা চাইতো। চাহিদা মতো টাকা না দিলে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটাতো। বুধবার সকালে বাবা মাঠে চাষের জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে যায়। বাড়িতে মা ও ছেলে ছিল। নেশার জন্য মাকে টাকা চেয়েছিল গুনধর ছেলে কৌশিক। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে গালিগালাজ করতে থাকে কৌশিক। দুজনের মধ্যে বচসা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে ছুটে গিয়ে রান্না ঘরে থাকা ধারালো বটি নিয়ে এসে মায়ের গলায় কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। হাত দিয়ে ধারাল...

শিক্ষকের কব্জি কেটে গ্রেফতার প্রেমিকের বাবা

ভগবানপুর- স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়ের প্রেমিকের হাতের ধারালো অস্ত্রের কোপে কব্জি থেকে হাত কাটা পড়েছিল শিক্ষকের। সেই ঘটনায় আট দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করলত অভিযুক্ত যুবকের বাবাকে। কেলেঘাইনদী পাড়ে ভগবানপুরে শশুরবাড়িতে এতদিন আত্মগোপন করেছিল মহাদেব।  ভগবানপুরে গত ২৫ আগস্ট সকালে বাইকে চেপে নিজের কর্মস্থল তালদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক গোকূলচন্দ্র মুড়া। তালদা ফিসারে মোড়ের কাছে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষকের গলা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মাথা সরিয়ে নিয়ে ডান হাত দিয়ে ধারালো অস্ত্রকে বাধা দিতে গেলে কব্জি থেকে শিক্ষকের হাত কাটা পড়ে। আহত শিক্ষকের কাটা হাত জোড় দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। আহত শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হামলার ঘটনায় শিক্ষকের ছোট মেয়ের প্রেমিক যুবক নন্দ বর্মণ ও তার বাবার মহাদেব বর্মন জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ভাবে অনুমান করেছিল শিক্ষকের পরিবার। ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে দুষ্কৃতীরা তালদা খাল পেরিয়ে এলাকায় গা ঢাকা দেয়। হামলার পরের দিন গত ২৬ আগস্ট ভগবানপুর থানায় শিক্ষকের বড়ো মেয়ে সম্প্রীতি মুড়া বোনের প্রেমিক সহ তা...